পরিবেশ সুরক্ষা আইন
পরিবেশ
ও বন মন্ত্রক তার
সর্বশেষ খসড়া পরিবেশের প্রভাব নির্ধারণ (ইআইএ) বিজ্ঞপ্তি ২০২০ Environment Impact
Assessment 2020 মার্চে
প্রকাশ করেছে যাতে সমূহ বিতর্ক
সৃষ্টি হয়েছে । পরিবেশ ছাড়পত্র
প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করেছে বা মূল আইন
লঙ্ঘন করেছে এমন প্রকল্পগুলি কেও
এখতিয়ারের আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া
হয়েছে।
ইআইএর
ধারণাটি ১৯৭৮-১৯৭৯ সালে
ভারতে এসেছিল কিন্তু এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন
করে সরকার ১৯৯৪ সালে বাধ্যতামূলক
হিসেবে পরিবেশ সুরক্ষা আইন, ১৯৮৬ এর
অধীনে নিয়ে
আসেI
এই নতুন বিজ্ঞপ্তির
গুরুত্ব বোঝাতে নিম্নলিখিত শব্দগুলি র উল্লেখ করা হয়েছে,-
“আদালত
ও জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশাবলী
প্রক্রিয়াটিকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং যথা যোগ্য
বাস্তবায়নের জন্য সময়ে সময়ে
ইআইএ নোটিফিকেশন, ২০০৬ টি কে একাধিক
সংশোধনী জারি করা হয়েছে।”
ইআইএ
নোটিফিকেশন, ২০০৬ এর দ্বারা
বিভিন্ন প্রকল্পের পরিবেশ গত মূল্যায়ন করা
সম্ভব হয়েছে , প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির কারণে পরিবেশের ওপরে প্রভাব ও
তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশগত
সুরক্ষা র বিভিন্ন পন্থা
উপলব্ধি করতে সহায়তা করেছে,
যার জন্য পরিকল্পনার পর্যায়ে
প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়পত্র প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রক্রিয়াটিকে আরও
স্বচ্ছ এবং দ্রুত করার চেষ্টা করে
অনলাইন সিস্টেম, আরও প্রতিনিধি দল,
যৌক্তিককরণ, মান নির্ধারণ ইত্যাদি
র দ্বারা I এরপর বিজ্ঞপ্তি S.O. 804(E), তারিখ 14th March, 2017 -তে পরিবেশ সুরক্ষা লঙ্ঘন কারী প্রকল্পগুলির মামলার মূল্যায়নের জন্য ছয় মাসের সময় বরাদ্দ
হয়েছে । উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে এনভায়রনমেন্ট ক্লিয়ারেন্স ব্যতীত যে প্রকল্পগুলি নির্মাণ
কাজ শুরু করেছে বা সম্প্রসারণ বা আধুনিকীকরণ বা পণ্য-মিশ্রণ করেছে, তাদের লঙ্ঘনকে সংজ্ঞায়িত
করেছে। তবে, সংশ্লিষ্ট নিয়মিত কর্তৃপক্ষ দ্বারা
মূল্যায়ন বা পর্যবেক্ষণ বা পরিদর্শন প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রকৃতিতে এ জাতীয়
লঙ্ঘনগুলি পুনরুত্থিত হতে পারে ভবিষ্যতেI সুতরাং, মন্ত্রক এই ধরনের পরিবেশ লঙ্ঘন কারী
প্রকল্পগুলি নিয়ন্ত্রণহীন না রেখে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবেশের স্বার্থে নিয়ম অনুযায়ী
যথাযোগ্য আইন এর আওতায় আনার প্রক্রিয়া প্রণয়ন করা প্রয়োজনীয় বলে মনে করে, যা না
হলে পরিবেশের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হবে।
নতুন EIA খসড়া
বিজ্ঞপ্তিটি তালিকাভুক্ত সমস্ত প্রকল্প এবং ক্রিয়াকলাপকে তিনটি বিভাগে ভাগ করেছে-
‘A’, ‘B 1’, এবং ‘B 2’।এই বিভাগগুলি তৈরি
করা হয়েছে সম্ভাব্য সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব এবং এই প্রভাবগুলির স্থানিক সীমার
ভিত্তিতে। যে কোনো নতুন প্রকল্প বা সম্প্রসারণ বা আধুনিকীকরণ সহ ‘এ’ বিভাগের অধীনে পরিগণিত হবেI বিভাগ ‘B1’;
এবং বিভাগ 'B 2' অনুসারে তফসিলে বর্ণিত সেই
সকল প্রজেক্ট গুলির নির্মাণ কাজ শুরু করা বা স্থাপনা বা খনন বা আধুনিকীকরণ শুরু করার
আগে মূল্যায়ন কমিটির সামনে স্থাপন করা হবে
সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের পূর্বে পরিবেশ ছাড়পত্র এর জন্যI নির্ধারিত
সীমা ছাড়িয়ে উত্পাদন এবং / অথবা প্রকল্পের ক্ষেত্রটি সম্প্রসারণ করার আগে prior EC
(Environment Clearance) অথবা prior-EP (Environment Permission) দরকার যেমনটি আগে
মঞ্জুর করা যেতে পারে। 'B2' বিভাগের অধীনে
তফসিলের তালিকাভুক্ত প্রকল্পের সম্প্রসারণ বা আধুনিকীকরণ সহ নতুন প্রকল্প বা ক্রিয়াকলাপ
সমূহ যা তফসিলের মধ্যে নির্ধারিত মূল্যায়ন কমিটির সামনে রাখার প্রয়োজন নেই, কোনও
নির্মাণ কাজ বা ইনস্টলেশন বা স্থাপনা বা খনন বা আধুনিকীকরণ শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক
কর্তৃপক্ষের পূর্বে পরিবেশগত অনুমতি নেবার প্রয়োজনI
তফসিলের বিভাগ
'B 1, B2' এর অধীনে বিদ্যমান সমস্ত প্রকল্পগুলির
মধ্যে এই প্রজ্ঞাপনের ৩ নং ধারার (৩০) এর অধীন
সংজ্ঞায়িত সাধারণ শর্ত পূরণকারী প্রকল্পগুলিদের বাদ দিয়ে বাকি সকল প্রকল্পগুলির,
রাজ্য থেকে Prior EC প্রয়োজন State Level Environment Impact Assessment
Authority(SEIAA) বা ইউনিয়ন টেরিটরি লেভেল এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটি
(ইউটিআইএএ) থেকে ।
জাতীয় প্রতিরক্ষা
এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত বা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য কৌশলগত বিবেচনায়
জড়িত সমস্ত প্রকল্পের জন্য প্রকল্পের বিভাগে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই মন্ত্রনালয় থেকে
পূর্ব-EC বা পূর্ববর্তী EP প্রয়োজন হবে। তদুপরি,
এই জাতীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কিত কোনও তথ্য পাবলিক ডোমেনে রাখা হবে না।
খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে
প্রাক পরিবেশ ছাড়পত্র বা প্রাক পরিবেশগত অনুমতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে
উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন বিজ্ঞপ্তিটি
পরিবেশ লঙ্ঘনের কারী মামলাগুলির মোকাবেলায় বিশেষত একটি নতুন বিভাগ প্রনয়ণ করেছে এবং পরিবেশ লঙ্ঘনের বিষয়টি চার দিক দিয়ে
মোকাবেলা করা হবে। এই প্রক্রিয়াগুলি হ'ল (ক) প্রকল্পের প্রস্তাবকের স্ব মোটো প্রয়োগ;
বা (খ) কোন সরকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রিপোর্টিং; বা (গ) মূল্যায়ন কমিটির দ্বারা মূল্যায়নের
সময় পাওয়া তথ্য ; বা (ঘ) আবেদনের প্রক্রিয়াকরণের সময় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক
পাওয়া গলদ , যদি থাকে,
খসড়া অনুসারে,পরিবেশ
লঙ্ঘনের মামলাগুলি মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যেও, "পর্যাপ্ত
পরিবেশগত সুরক্ষার সাথে পরিবেশগত নিয়মাবলী মেনে চলতে পারে কিনা" তা নির্ধারণের
জন্য মূল্যায়ন করা হবে। যদি মূল্যায়ন নেতিবাচক হয় তবে প্রকল্পটি বন্ধ করার নির্দেশ
দেওয়া হবে। যদি তা না হয় তবে এটি পরিবেশগত ক্ষতি ইত্যাদির জন্য মূল্যায়ন করা হবে
I এই জাতীয় প্রকল্পগুলির
প্রকল্পের আকারের উপর নির্ভর করে দেরী ফি দিতে হবে। সংস্থাটি পাঁচ বছরের জন্য বৈধ একটি
ব্যাংক গ্যারান্টিও জমা দিতে হবে, যা রাষ্ট্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সাথে প্রতিকার
ব্যবস্থার পরিমাণের সমতুল্য।
তবে নতুন বিজ্ঞপ্তিটি
বিভিন্ন কারণে পরিবেশকর্মী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা
তীব্র সমালোচিত হয়েছেন। অনেকে উল্লেখ করেছেন যে সরকার একটি নতুন পর্যবেক্ষণ
ব্যবস্থা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে যা কেবলমাত্র স্বাবলম্বনের উপর নির্ভর করে।
খসড়া টি Prior-EC
অথবা Prior -EP তে নির্ধারিত শর্তাবলীর ক্ষেত্রে প্রজেক্টের প্রবক্তাকে বার্ষিক সম্মতি
রিপোর্ট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে, যা
কিনা পুরো প্রকল্প টি চলাকালীন দিয়ে যেতে হবে
সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি বছর I যদিও প্রয়োজন মনে করা হলে, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আরও নিয়মিত
কম বিরতিতে এই ধরনের প্রতিবেদনগুলি জানতে চাইতে পারে।
এ ক্ষেত্রে
মনে হতেই পারে যে সরকার কোনও প্রকল্পের পক্ষে হয়ে একটি অনুকূলে কমপ্লায়েন্স প্রক্রিয়াগুলি
সহজ করার চেষ্টা করছে যা একটি সরকারী সংস্থা কর্তৃক করা উচিত।
তবে এই নতুন
খসড়াটি তে অনেক ছাড়ের সুবিধা দেয়া হয়েছে যার ফলে ক্ষতিকারক কোনো প্রকল্পের জন্য পরিবেশ
ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে, এছাড়াও জনগণের শুনানির সুযোগ হ্রাস করা হয়েছ। জনগণের
শুনানির প্রক্রিয়াটি EIA এর একটি মূল উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয় I এর ফলে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিকটি লঘু করে ফেলেছে I
পরিবেশ ছাড়পত্র
পাওয়ার জন্য যে কোনও আবেদনের জন্য জনসাধারণের শুনানির সময় জনগণকে তাদের প্রতিক্রিয়া
জমা দেওয়ার জন্য সময়সীমা ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ২০ দিন এ হ্রাস করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে
। ২০০৬ এর নোটিফিকেশনের অধীনে জনগণের শ্রবণ প্রক্রিয়া ৪৫ দিনের ছিল । দ্রুততার খাতিরে
আজকের অনলাইন হবার সুবাদে এটি ৪০ দিন করা যেতে পারে। সময় হ্রাস করার মূল কারণটি
দর্শানো হয়েছে, নতুন বিনিয়োগের পক্ষে EIA এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা যাতে সহজ হয়ে যায়।
জনগনের হস্তক্ষেপ রোধ করার ফলে পুরো বিষয় টি স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারে।
সময় হ্রাস
এর ফলে অবশ্যই সেই সব ক্ষতিগ্রস্থ লোক রা বঞ্চিত হবে যেখানে তথ্য সহজেই পৌঁছয় না , অনলাইনের সুবিধা পাওয়া
যায়না সহজে এবং যেখানে লোকেরা এই জাতীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন নয়।
এদেশের শীর্ষ
আদালত বিভিন্ন রায়কে পুনর্বিবেচনা করেছিল যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সামনে প্রতিনিধিত্ব
করার জন্য জনসাধারণকে পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ দেওয়া উচিত।
বর্তমানে দিল্লি
হাই কোর্ট ১ ১ ই অগাস্ট অব্দি সময় বর্ধিত করেছে
বিষয়টি বিবেচনার জন্য। "eia2020-moefcc@gov.in " এই ইমেইল এ পরিবেশ
মন্ত্রক কে স্বতন্ত্র অথবা দলবদ্ধ ভাবে লিখে জানানো যেতে পারে এই সময় সীমার মধ্যে।
ইতিপূর্বে বিজ্ঞানী
শৈলেশ নায়ক এর তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল ২০১১ (সিআরজেড
-২০১১) বিজ্ঞপ্তি র পর্যালোচনা করে দেশের ৭৫১৬ -কিমি তীররেখা রক্ষা করার জন্য নতুন
CRZ বিজ্ঞপ্তি ২০১৯ প্রবর্তন করে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং কেরালার কাছ থেকে প্রাপ্ত
প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং উপকূলের নিকট উন্নয়নের
প্রচারের পাশাপাশি রাজ্যগুলির উদ্বেগ মোকাবেলায় কীভাবে পুরাতন বিধিগুলি সংশোধন করা
যায় তা প্রস্তাব করে I যদিও
পরিবেশবিদ এবং মৎস্যজীবীদের তরফে প্রবল আপত্তি জানানো হয়েছিল , যারা দাবি করেন যে নতুন
নিয়মগুলি নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্যিকীকরণের অনুমতি দিয়ে তীররেখাটি ধ্বংস করবে।
পুরো বিষয় টি
রাজ্য সরকার বা স্থানীয় জেলে বা বিভিন্ন সম্প্রদায় জানতেও পারেনি, কোন ধরণের সার্ভে
পুরো বিষয় টি তে কোনোরকম স্থানীয় সম্প্রদায়ের
অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ পূর্বক পরিকল্পনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি I
বিজ্ঞপ্তিতে
অনেক বিতর্কিত ধারা রয়েছে। যেমন , "কৌশলগত উদ্দেশ্য", "পাবলিক ইউটিলিটিস"
এবং "ইকো-ট্যুরিজম" এর মতো পদগুলি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত হয়নি। এই প্রশস্ত
এবং খোলামেলা বাক্যাংশ গুলি র ওপরে দাঁড়িয়ে উপকূলের নিকটে ক্ষতিকারক ক্রিয়াকলাপ সহজেই
অনুমতি পেয়ে যেতে পারে।
২০১১ এর বিজ্ঞপ্তি
তে পরিষ্কার সংজ্ঞায়িত ছিল কোন নির্দিষ্টভাবে কৌশলগত এবং প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলি সিআরজেড
বিধিগুলির থেকে অব্যাহতি পাবে। তবে নতুন বিজ্ঞপ্তি তে এই ধরনের কোনো নিশ্চয়তার অভাব
রয়েছে ।
আরেকটি বিতর্কিত
সিদ্ধান্ত হ'ল উপকূলের অদূরে জনবহুল পল্লী অঞ্চল নিয়ে একটি নতুন বিভাগ তৈরি করা, যাতে আরও পর্যটন ও উন্নয়ন
কর্মকাণ্ডের পথ সুগম হয়।
গ্রামীণ অঞ্চলে,
পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তিতে CRZ-III নামে কেবল একটি বিভাগ ছিল। নতুন নিয়মে এটি জনসংখ্যার
ভিত্তিতে CRZ-IIIA এবং CRZ-IIIB উপ-বিভক্ত হয়েছে। CRZ-IIIA অনুযায়ী প্রতি বর্গ কিমি
২১৬ ১ জনসংখ্যার ঘনত্বের অঞ্চলে কোনও উন্নয়ন
হবে না। CRZ-IIIA তে ২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তিতে
হাই টাইড লাইন থেকে ২০০ মিটার এর মধ্যে কোনও উন্নয়ন ব্রাত্য ছিল সেখানে নতুন
বিজ্ঞপ্তি তে সেটা ৫০ মিটার এর মধ্যে চলে এসেছে।
সিআরজেড-IIIB- এর ক্ষেত্রে 200 মিটার
অব্দি উন্নয়ন ব্রাত্য করা হয়েছ।
যদিও পর্যটন
শিল্প ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে, যেহেতু রিসর্টগুলি
সমুদ্র সৈকতের খুব কাছে চলে আসতে পারবে, এই জাতীয় নিয়ম শিথিল করার ফলে I তবে এর বিরূপ
প্রভাব ও দেখা দিতে শুরু করেছে ,চেন্নাই থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কোভালামে র বিলাসবহুল রিসর্টগুলির জন্য , মাছ ধরার ক্ষেত্রে
খারাপ ফল দেখা দিয়েছে এর জন্য অনেক জেলেই তাদের জীবিকা পরিবর্তনের জন্য বাধ্য হয়েছ।
মুম্বই, গোয়া
ও পশ্চিমবঙ্গে ও মৎস্যজীবী সম্প্রদায় এর জন্য
যথেষ্ট উদ্বেগ এর কারণ রয়েছে I
আইন টিকে লঘু করা
র জন্য সমুদ্র তীরবর্তী জমি গুলি সহজেই আবাসনের জন্য জমি অধিগৃহীত হয়ে যেতে পারে
, সমুদ্রের তীরে বড় বড় আবাসন হলে তার জন্য
প্রভূত দূষণ ও হতে হবে I তদুপরি,
উপকূলে বর্ধিত পর্যটন চাপের ফলে ভঙ্গুর উপকূলীয় জলজঞ্চল থেকে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর
কমে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ধিত বর্জ্য এবং নিকাশী নিষ্কাশনের ফলে উপকূল বরাবর অতিরিক্ত
সমস্যা দেখা দিতে পারে যা বর্তমানে শক্ত বর্জ্য এবং নর্দমা ব্যবস্থা এমনকি বর্তমান
স্তরের সামলানোর সামর্থ্যই খুব কমই আছে।
উপকূলীয় গ্রামগুলিতে
ভবন নির্মাণের পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতগুলিতে
পর্যটন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকার
যেমন কেরালা, কর্ণাটক ইত্যাদি সিআরজেড বিধিতে শিথিলতা চেয়েছিল যেহেতু কেরালার জিডিপির
১০% আসে পর্যটন থেকে।
এই বিজ্ঞপ্তি
র দু'মাস পরে কেরালা সরকার নতুন বিধি বাস্তবায়ন শুরু করে দিয়েছে । যদিও গোটা দেশে
সবেমাত্র ২০১১ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কেন্দ্রের অনুমোদনের ভিত্তিতে খসড়া মানচিত্রটি তৈরি
হয়েছে । তবে সেই মানচিত্রটি এখন নতুন নিয়ম অনুসারে পুনর্নির্মাণ করতে হবে ২০১৯ বিজ্ঞপ্তি
অনুযায়ী এবং আবার কেন্দ্রের অনুমোদনের প্রয়োজন।
পরিবেশ সংক্রান্ত
এই ২টি মুখ্য আইন পরিবর্তন তথা লঘু করে ফেলার দরুন সমগ্র ভারতবর্ষের বন্-বনাঞ্চল এমনকি অতি স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল পরিবেশ খুব সহজেই
সুরক্ষাহীন ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে ।
No comments:
Post a Comment